সবুজের বুকে দৃষ্টিনন্দন বায়তুল মামুর জামে মসজিদ

সবুজের সমারোহে ঘেরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে এক মনোমুগ্ধকর স্থাপত্য বায়তুল মামুর জামে মসজিদ। পাখির চোখে দেখলে মনে হয়, প্রকৃতির বুকে যেন দাঁড়িয়ে আছে এক শিল্পকর্ম। সুপারি ও নারিকেল বাগানের ফাঁকে, আধুনিক স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত এই মসজিদটি এখন লক্ষ্মীপুরের মানুষের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
বিজ্ঞাপন
লক্ষ্মীপুরের দালালবাজার ইউনিয়নের মোহাদেবপুর জামতলিতে অবস্থিত মসজিদটি দেখতে প্রতিদিনই জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন মানুষ। কেউ নামাজ আদায় করতে, কেউ আবার শুধু সৌন্দর্য উপভোগ করতে।
২০২২ সালে স্থানীয় মুসল্লি ও যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ফরহাদ হোসেন নেহাল চৌধুরীর অর্থায়নে মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে ৬০ শতাংশ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ৪ কোটি টাকার বাজেট ধরা হলেও ব্যয় কিছুটা কমিয়ে কাজ এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এখনো প্রায় কোটি টাকার কাজ বাকি রয়েছে।
আরও পড়ুন: রাউজানে বিএনপি নেতাকে গুলি করে হত্যা
বিজ্ঞাপন
মসজিদের ইমাম মাওলানা শহিদুল ইসলাম বলেন, “এখনও বেশ কিছু কাজ বাকি। চারপাশে পানির পোয়ারা, গ্লাসের ফ্রেম, গেট, লাইট, টাইলস ও মেঝেতে আরো কারুকাজ হওয়ার কথা রয়েছে। পুরো কাজ সম্পন্ন হলে মসজিদটির সৌন্দর্য আরও বেড়ে যাবে।”
স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, “এই মসজিদ শুধু নামাজের স্থান নয়, এটি আমাদের গ্রামের গর্ব। প্রাকৃতিক পরিবেশে এমন আধুনিক স্থাপত্যের মসজিদ লক্ষ্মীপুরে বিরল।”
দর্শনার্থী পর্যটক সালেহ আহমেদ জানান, “আমি চন্দ্রগঞ্জ থেকে এসেছি মসজিদটি দেখতে। প্রকৃতির মাঝখানে এত সুন্দর মসজিদ আগে কোথাও দেখিনি।”
বিজ্ঞাপন
মসজিদ কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম মুরাদ বলেন, “প্রবাসী ফরহাদ হোসেন নেহাল চৌধুরী শুরু থেকেই মসজিদ নির্মাণে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। স্থানীয় মুসল্লিরাও পাশে আছেন। তবে বাকি কাজ শেষ করতে এখনও প্রায় কোটি টাকার প্রয়োজন।”
আধুনিক নকশা, গ্লাসের দেয়াল, আলো-ছায়ার খেলা আর প্রকৃতির নিসর্গে ঘেরা এই বায়তুল মামুর জামে মসজিদ এখন শুধু ধর্মীয় উপাসনার স্থান নয়, এটি লক্ষ্মীপুরের মানুষের কাছে নান্দনিক সৌন্দর্য, ঐক্য ও আস্থার এক প্রতীক হয়ে উঠেছে।








